December 28, 2024, 2:55 pm

গলাচিপায় ৭ সন্তানের জননীকে স্বামীর মারধর বাড়িতে কাতরাচ্ছে।

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, June 23, 2020,
  • 111 Time View

 

সঞ্জিব দাস, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় স্বামী নির্যাতনের শিকার হয়ে ৭ সন্তানের জননী আইনি সহায়তার জন্য গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমলে নিয়ে গলাচিপা থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

গৃহবধু তার সন্তানদের নিয়ে গলাচিপা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে বিষয়টি জানান। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহণ করে এসআই নজরুল রাড়ীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ওই গৃহবধু হচ্ছেন আশ্রাফ ফরাজীর স্ত্রী মোসা. কুলসুম বেগম (৫০)। গৃহবধু কুলসুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের নিম হাওলা গ্রামের সুন্দর আলী ফরাজীর ছেলে আশ্রাফ ফরাজীর সাথে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমার বিবাহ হয়।

তার ঔরষে আমার গর্ভে ৬মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তিনি আরও বলেন, বিবাহের পর থেকেই আমার স্বামী যৌতুকের জন্য আমাকে একাধিকবার নির্যাতন করেন। গত ১২ জুন সকালে বাজারের জন্য আমার স্বামীর দোকানে গেলে আমাকে বাজারের মধ্যেই লোকজনের মধ্যে আমাকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করেন। আমার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে পড়লে আমার স্বামী ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

পরে এলাকাবাসী আমাকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কুলসুম বেগমের বাম হাতের ১টি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং শরীরে কালো কালো মারধরের চিহ্ন আছে। এবিষয় নিয়ে আশ্রাফ ফরাজীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারধরের কথা তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা খান বলেন, আসলেই কুলসুম বেগম অসহায় ১টি মহিলা, বিষয়টি দেখব। কুলসুম বেগম বাদী হয়ে নির্যাতন ও যৌতুক চাওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ১টি লিখিতভাবে জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71